ভূমি জরিপের প্রয়োজনীয়তা
ভূমিকা: ভূমি যে শ্রেণীর হোক না কেন মানুষের কাছে তা কোন না কোন ভাবে প্রয়োজনীয়।
দেশের ভূমির পরিমান না বাড়লেও জনসংখ্যা বাড়ছে – জ্যামিতিক হারে যার ফলে মাথা পিছু ভূমির পরিমান ক্রমগত ভাবে হ্রাস পাচ্ছে।
অপরদিকে দিন দিন ভূমির মূল্য বেড়ে যাচ্ছে।
জনসংখ্যা বাড়ার কারণে উত্তরাধিকার সূত্রে একটা জমি বিভিন্ন খন্ডে খন্ডে খন্ডিত হচ্ছে।
এর মাধ্যমে কোন না কোন মালিক তার দখলদারিত্ব হারাচ্ছে – আবার নতুন কেউ মালিক হচ্ছে – যাহা একটা প্রতিনিয়ত চলমান ব্যবস্থা ৷
আর এর মাঝেই তৈরি হচ্ছে মালিকানা বিরোধ । আর এই মালিকানা বিরোধ ইঙ্গিত বহন করে মালিকানা সংক্রান্ত দলিলের ও অসামঞ্জস্য বা যথার্থ তথ্য অভাবের কারণে।
এই মালিকানা বিরোধ সমাধানের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় রেকর্ড বা খতিয়ান প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা তথা জরিপ কার্যক্রম সম্পাদনের।
ভূমি জরিপ এমন একটি কার্যক্রম যা দক্ষ কর্মবাহিনীর মাধ্যমে বিধিসম্মত সুনির্দিষ্ট নিয়ম কানুন অনুসরণ করে এবং সুনিদৃর্ষ্ট নিতীমালা অনুসারণ করে কোনো সুনির্দিষ্ট এলাকার ভূমিক খণ্ড সরেজমিনে পরিমাপ করে এর আয়তন – ভৌগোলিক অবস্থান – নির্ণয় করার মাধ্যমে একটি জরিপ এলাকার – মৌজার নকশা প্রস্তুত এবং প্রতি খন্ড জমির মালিকের দখলদারের পরিচিতি ও ঠিকানা ভূমির শ্রেণী বিভাগ উল্লেখ করে মালিকের জন্য নির্ভরযোগ্য খতিয়ান প্রস্তুত করা হয় ।
এবং এ সকল কার্যক্রম আগেকার দিনের জমিদার কর্তিক এবং বর্তমান দিনে সরকার কর্তৃক প্রচালিত হয়ে থাকে।
বর্তমান দিনে যে কাজের দায়-দায়িত্ব সেটেলমেন্টকে দেওয়া হয়।
এবং সেটেলমেন্ট কর্তৃক সুনির্দিষ্ট আইন ও বিধি মোতাবেক উক্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে এবং ভূমির সংক্রান্ত বিষয় বিভিন্ন বিরোধ দেখা দিলে উক্ত জরিপকৃত খতিয়ান এবং নকশা যাচাই-বাছাই করে সঠিক মালিক চিহ্নিত করে উক্ত বিরোধ নিস্পত্তি করা হয় । এভাবে আমাদের প্রয়োজন পড়ে বিভিন্ন বিরোধ সমাধানের ক্ষেত্রে এই ভূমি জরিপ প্রক্রিয়াটা ।
মৌজা ম্যাপ সংগ্রহসহ সকল ধরনের সার্ভে যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে আমাদের সাথে যোগাযোগ করন: ফোন করার সমায় রাত 10.30 মিনিট থেকে 11.30 মিনিট এর মধ্যে ।