নকশা – ম্যাপ কাকে বলে
ভূমিকা: আমরা যখন ম্যাপ সমর্কে জানতে চায় তখন আমাদের প্রাচীন কালের দিকে লক্ষ রাখতে হয় । কেননা প্রাচীন যুগ থেকে ম্যাপ এর উৎপত্তি এবং ব্যাবহার । তখনকার যুগে যে সকল ম্যাপ ব্যাবহার করতো তাহা নিজেদের প্রয়োজনে তারা নিজেরা তৈরী করতো এবং সেটা অঙ্কন করার জন্য ব্যাবহার করতো –কাপড় – চামড়া – গাছের পাতা – দেওয়াল – পাহাড় – ইত্যদী । এবং এই সকল সকশা গুলোর নামকরণ করা হতো তাদের চাহিদার উপর ভিত্তি করে – তখনকার যুগে জমিদারগন তাদের – নিজের এরিয়া – গুপ্তধন – এবং বিভিন্ন তথ্যদি চিন্হিত করার জন্য তৈরী করতো । এবং উক্ত বিষয়ের উপর আলোকপাত করে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পর্যায়ক্রমে তৈরী করা হয় ভূমি জরিপ নকশা – মানচিত্রের নকশা – প্লানিং নকশা – ইত্যদী ।
অতঃপর ভূমি জরিপ নকশা পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন জমিদারগণ তৈরী করেন কিন্তু সেখান থেকে সঠিক ফলাফল পাওয়া যাচ্ছিলো না । অতঃপর ভূমি জরিপ নকশা পর্যায়ক্রমে ১৮৪৬-১৮৭১ সালের মধ্যে গ্রামকে একক ধরে ২০০-৩০০ দুরে দুরে বাশের খুটি/মাটি ঢিপি তৈরী করে সিমানা চিহ্নত করে । এবং উক্ত জরিপের নামকরন করা হয় থাক বাস্ট জরিপ নামে । এই জরিপে জমিদারি এলাকার ভূসম্পত্তির বর্ণানা , জমিদারি এলাকার বাইরের সম্পত্তির বর্ণনা, অন্যান্য তথ্যগুলো নকশায় থাকা চিহ্নের মাধ্যমে দেখানো হয় । আর এটায় ছিলো ভারত উপমহাদেশের মধ্যে প্রথম সার্ভে কৃত নকশা / ম্যাপ এবং পাশাপাশি ১৮৪৭-১৮৭৮ সালের মধ্যে বাস্ট জরিপের তথ্য সংশোধন ও রাজাস্ব নির্ধারনের জন্য রাজাস্ব জরিপ (revenue survey ) করা হয় ।এই জরিপে যে নকশা তৈর করা হয় তাহা ৪” =সমান একমাইল স্কেলে প্রস্তুত করা হয় । এবং জমিদারি বাইরের এলাকা সরকারের নামে কালেকটরেটে খতিয়ানভূক্ত করা হয় (যাহাকে আমরা এখন ক/খাস বলে থাকি)
ম্যাপ এর শাব্দটির উৎপত্তি অর্থ:
ম্যাপ শব্দটি ল্যাটিন শব্দ মাপ্পা থেকে উৎপত্তি । আর মাপ্পা শব্দের অর্থ হলো কাপড় ।
যেহেতু সে সমায় ম্যাপ কাপড়- চামড়া – গাছের পাতা / ছাল ই্ত্যাদি ব্যাবহার করতো তাই এরুপ নামকরণ করা হয়েছে
ম্যাপ এবং মানচিত্র পারিভাষিক সংজ্ঞা:
ম্যাপ: সমগ্র পৃথিবী অথবা এর কোন অংশ সঠিক দিক অনুসারণ করে নির্দৃষ্ট স্কেলে সমতল কাগজের উপর অক্ষরেখা এবং দ্রাঘিম রেখা দ্বারা অঙ্কন করে তৈরী কৃত চকের ভিতরে উপস্থাপনা করা হলে তাকে ম্যাপ বলে ।
মানচিত্র: সমগ্র পৃথিবী অথবা এর কোন অংশ সঠিক দিক অনুসারণ করে নির্দৃষ্ট ছোট্ট স্কেলে সমতল কাগজের উপর অক্ষরেখা এবং দ্রাঘিম রেখা দ্বারা অঙ্কন করে তৈরী কৃত চকের ভিতরে উপস্থাপনা করা হলে তাকে ম্যাপ বলে ।
জরিপের উপর ভিত্তি করে ম্যাপ অথবা মানচিত্র এর প্রকারভেদ:
মৌজা ম্যাপ – প্ল্যানিং ম্যাপ – গ্রামের ম্যাপ – থানার ম্যাপ –জেলার ম্যাপ – দেশেরে ম্যাপ – নদ নদীর ম্যাপ –সমুদ্রের ম্যাপ – বনঅঞ্চলের ম্যাপ – পাহাড় পর্বতের ম্যাপ – পৃথিবীর ম্যাপ – ইত্যাদি ।
এ ছাড়াও আরো অনেক ধরনের নকশা / ম্যাপ আমরা ব্যাবহার করি যাহা বিভিন্ন কাজের উপর ভিত্তি করে করা হয় এবং ব্যাবহা করা হয় । সকল ধরনের ম্যাপ বা মানচিত্র নিয়ে কথা বলতে গেলে একটা বই তৈরী হয়ে যাবে – সুতারাং এখান থেকে আপনারা সাভাবিক ভাবে একটা ধারনা পাবেন ।
মৌজা ম্যাপ সংগ্রহসহ সকল ধরনের সার্ভে যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে আমাদের সাথে যোগাযোগ করন: ফোন করার সমায় রাত 10.30 মিনিট থেকে 11.30 মিনিট এর মধ্যে ।