ভূমি জরিপ ও ভূমি ব্যাবস্থাপনার ইতিহাস
■ প্রাচীন যুগ:
মানব সভ্যতার কোন উষালগ্নে এ বঙ্গীয় ভূমিতে মানুষের আগমন ঘটে তার যথার্থ নির্ভরযোগ্য ইতিহাস প্রায় অজানা ।যতদূর যানা যায় আদিকালে যখন এ অঞ্চলে মানুষের আগমন ঘটে তখন পুরো বাংলাদেশ সমদ্রে উপকূলীয় দক্ষিন অঞ্চল সমদ্রে নিমজ্জিত ছিলো ।
এবং দক্ষিন ও উত্তরে বনজঙ্গলে নিমজ্জিত ছিলো যেখানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আদিবাসী জনগষ্ঠী বসবাস করতো ।তাদের জীবিকার মাধ্যমে ছিলো –জুম চাষ এবং পশু-পাখি শিখার ।কালের পরিবর্তে এবং বংশ্যবিস্তারের সাথে সাথে তারা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে এবং বনজঙ্গল পরিস্কার করে তারা ভোগদখল শুরু করে এবং
সেখানে বিভিন্ন চাষাবাদের কাজ শুরু করে এ ভাবে তারা বিভিন্ন জনগষ্ঠীতে রুপান্তরিত হয় এবং সে সকল জনগষ্ঠীকে পরিচালনার জন্য একজন সমাজপতি (গোষ্ঠিপ্রধান ) তৈরী করা হতো । ঐ সমাজপতি বা গোষ্ঠিপ্রধানকে তাদের উঃপাদিত ফসলের একটা অংশ্য দিতে হতো যাকে পরবর্তিতে খাজনা নামে নামকরণ প্রচালিত করা হয় । বিপুল পরিমান জায়গা থাকার কারনে জমির মালিকানা নিয়ে তাদের কোন প্রকার চিন্তা চেতনা ছিলোনা । তাই তখনকার যুগে ভূমি ব্যাবস্থাপনার প্রশ্নই আসেনা তবু ও তারা গোষ্ঠীগত নিয়ম কানুন মেনে চলতো ।
হিন্দু আমল:
কালের দীর্ঘ পরিক্রমায় যিশুখ্যিষ্ট্রের কয়েকশত বছর আগে উত্তর-পশ্চিম এশিয়া হতে আর্যগন উত্তর ও মধ্য ভারতে প্রবেশ করলে ঐ অংশের অনার্য হিন্দু (দ্রাবিড় নামে পরিচিত) ভারতের দক্ষিনাঅঞ্চলে এবং বাংলাদের পূর্বাঅঞ্চালে আসে । প্রাচীন অদীবাসিদের চেয়ে এদের চাষাবাদের অভিজ্ঞতা বেশী থাকায় এদের গোত্রপ্রধানের নির্দেশ মোতাবেক বনজঙ্গল পরিস্কার করে তারা চাষাবাদের জন্য জমি তৈরী করে নিতো ।তখনকার যুগে যে গষ্ঠী যে সকল বনাঞ্চল পরিস্কার করে চাষাবাদ করতো সে গোষ্ঠী উক্ত জমির মালিকানা লাভ করতো । এভাবে ধিরে ধিরে ভূমি ব্যাবহোরের নিয়মতান্ত্রিকতার সূচনা ঘটে ।
মুসলিম আমল:
১২০১ সালে লক্ষ্মণ সেনের নিকট হতে বাংলার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ইখতিযার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি দখল করেন এ শতাব্দীর শসন ক্ষমতা মুসলমানদের হাতে চলে আসে ।ভারত উপমহাদেশে ইখতিযার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি প্রথম ভূমি জরিপ প্রবর্তন করেন এবং ভমি ব্যাবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত করার পদক্ষেপ নেন ।
উৎপাদিত ফসলের একটা নির্দৃষ্ট একটা অংশ্য রাজস্ব হিসাবে নির্ধারন করেন (এই প্রথম রাজাস্ব খাজনা নির্ধারন করা হয়
) এবং ভূমি জরিপের জন্য কানুনগো নিযোক্ত করেনএবং কৃষি সুদমুক্ত ঋনণ প্রদানের ব্যাবস্থা প্রচালন করেন। ১৩৫৭-১৩৮৯ বাদশা সেকেন্দার শাহ ভূমি জরিপের ব্যস্থা করেন তখন জমি পরিমাপে সেকেন্দারী গজ ব্যাবহার করা হতো ।
মুঘল আমল:
মুঘল আমলে ভূমি জরিপ ব্যাবস্থা মূলত দুইটা উদ্দেশ্যে করা হয়
ক: যতোটুকু সম্ভাব অধিক রাজস্ব আদায় করা
খ: চাষিদেরকে সুখে রাখা যেন তারা আর্থিক স্বচ্ছতা লাভ করে ।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আমল:
১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজদের নিকট নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় বক্যারের যুদ্ধে মীর কাসিমের পরাজয়ের পর ১৭৬৫ সালে ইংরেজি কোম্পানি দিল্লির সম্রাটের নিকট বার্ষিক ২৬ লক্ষ টাকা প্রদানের অঙ্গিকারে বাংলা-বিহার উড়িষ্যার রাজাস্ব আদায়ের পূর্ন্য ক্ষমতা লাভ করেন । কোম্পানি আমলে শুরুতেই ১৭৬৩-১৭৮২ ইংরেজ নকশাবিদ ও ভারতে সার্ভোয়ার জেনারেল মেজর জন জেনারেল খতিয়ান ও সীমানা চিহ্ন ছাড়া নকশা তৈরী করেন ।এতে বিভিন্ন জমিদারি ওবিভিন্ন মহাল এর সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির তেমন কোন ফল পাওয়া যায় নায় ।
অতঃপর পর্যায়ক্রমে ১৮৪৬-১৮৭১ সালের মধ্যে গ্রামকে একক ধরে ২০০-৩০০ দুরে দুরে বাশের খুটি/মাটি ঢিপি তৈরী করে সিমানা চিহ্নত করা হয় । উক্ত জরিপের নামকরন করা হয় থাক বাস্ট জরিপ নামে । এই জরিপে জমিদারি এলাকার ভূসম্পত্তির বর্ণানা , জমিদারি এলাকার বাইরের সম্পত্তির বর্ণনা, অন্যান্য তথ্যগুলো নকশায় থাকা চিহ্নের মাধ্যমে দেখানো হয় ।
এবং পাশাপাশি ১৮৪৭-১৮৭৮ সালের মধ্যে বাস্ট জরিপের তথ্য সংশোধন ও রাজাস্ব নির্ধারনের জন্য রাজাস্ব জরিপ (revenue survey ) করা হয় ।এই জরিপে যে নকশা তৈর করা হয় তাহা ৪” =সমান একমাইল স্কেলে প্রস্তুত করা হয় । এবং জমিদারি বাইরের এলাকা সরকারের নামে কালেকটরেটে খতিয়ানভূক্ত করা হয় (যাহাকে আমরা এখন ক/খাস বলে থাকি)
ব্রিটিশ আমল:
১৮৫৭ সালে গণঅন্তোষ ইংল্যান্ডে ব্রিটিশ সরকারের দৃষ্টিতে আসে এবং ১৮৫৮ সালে ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন আমল অবলুপ্ত করে সরাসরি ব্রিটিশ সরকারের অধিনে নস্ত্য হয় ।
১৮৫৯ সালে জমিদার ও প্রজারদের মাঝে সম্পর্খে উন্নয়নে ( rent act 1859 ) আইন পাশ করা হয় ।
এই আইনকে তিন টা ভাগে ভাগ করা হয় ।
ক: চিরস্থায়ী বন্দবস্তকৃত জমি হতে একই হারে খাজনা দিয়ে আসছে ভবিষ্যতে তাদের খাজনা বাড়ানো যাবেনা এবং জমি থেকে উচ্ছেদ করা যাবেনা ।
খ: ধারাবাহিকভাবে যারা বার বছর জমি ভোগদখল করে আসছে তাদের খাজনা বাড়ানো যাবেতবে সম্পাদ না বাড়লে / মুদ্রাস্ফীত না ঘটলে খাজনা বাড়ানো যাবেনা ।
গ: যারা বার বছরের কম সমায় জমি ভোগদখল করে আসছে তারা অস্হিতিবান রায়াত তারা জমিদারের ইচ্ছাধীন রায়াত । কারণ দর্শোনা ছাড়ায় তাদের খাজনা বাড়ানো যাবে ।
ভূমি জরিপের আইন পাশ:
ভূমির যথাযত বর্ণনা-ভূমি চিহ্নতকরণ-ভূসম্পত্তির নিরাপত্তা বিধান-ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি-জমির সিমানা নির্ধারন-সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তি- জমির নকশা তৈরী – ইত্যদির জন্য ১৮৭৫ সালে বঙ্গীয় জরিপ আইন পাশ করা হয় ।
এর প্রথম ভাগে আছে: শিরোনাম
দ্বিতীয় ভাগে আছে: জরিপ সম্পর্কিত
তৃতীয় ভাগে আছে: সীমানা চিহ্ন
চতুর্থ ভাগে আছে: খাজনা আদায়
পঞ্চম ভাগে আছে্: সীমানা বিরোধ সম্পর্কে
যষ্ঠ ভাগে আছে : জরিপ ক্ষেত্রে বিবিধ বিষয়
খাজনা আইন এর যথার্থ্য বাস্তবায়নের অভাবে প্রজা/রায়াতের মধ্যে অসস্তোষ থেকে যাওয়ায় এর নিরসনকল্পে সার্বিক দিক বিবেচনা করে যথার্থ্য সুপারিশ করার জন্য ১৮৭৯ সালে খাজনা কমিশন (রেন্ট কমিশন) গঠন করা হয় । এবং বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে কয়েক বার সংশোধনের মাধ্যমে আগের আইন পরিবর্তন করে জমিদারি শোষণ বন্ধ করা ও কৃষকের উদ্ধত্ত পুজিতে পরিনাত করার লক্ষে ১৮৮৫ সালে বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন পাশ করা হয় ।
বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন এর ধারা সমূহ্য:
(ক): চিরস্থায়ী বন্দবস্তের পর যাদের খাজনা বাড়ানো হয় নায় তাদের খাজনা ভবিষ্যাতে আর বাড়ানো যাবেনা ।
(খ): বার বছর / তার বেশি ভোগদখল কৃত জমির খাজনা তখন বাড়ানো যাবে যখন কিনা জমিদার আদালতের মাধ্যমে প্রমান করতে পারেবে যে জমিদারের নিজস্ব উদ্যোগ ও বিনিয়োগের ফলে জমির উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে ।
(গ): স্বল্প মেয়াদী / কুর্ফা রায়াতদের খাজনার হার চুক্তির মেয়াদ শেষ নাহওয়া পর্যান্ত মেয়াদ বাড়ানো যাবেনা ।
(ঘ): কুর্ফা রায়াত বাদে সকল শ্রেণীর রায়াত প্রথা অনুযায়ী জমি হস্তান্তর করতে পারবে (তবে প্রতিটা হস্তান্তরের জন্য জমিদারকে সেলামি দিতে হবে) যেটাকে আমরা এখন বলি রেজিষ্ট্রেশন ফি সমূহ্য ।
জমিদারি অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব আইন পাশ:
১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইনকে ভিত্তি করেই ১৯৫০ সালে জমিদারি অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব আইন পাশ করা হয় । এবং ১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইনকে রহিত করা হয় ।
১৮৭৫ সালের বঙ্গীয় জরিপ আইন ও ১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন এর আলোকে বিভিন্ন জমিদারি এলাকার রায়াতের ভোগদখলকৃত জমির প্রতেকটা প্লট সরাজমিনে মেপে –জমির পরিমান –জমির শ্রেণী-জমির খাজনা ইত্যাদি তথ্যদিক সহ খতিয়ান- ও মৌজা ভিত্তিক নকশা তৈরী করা হয় । আর এই ধরনের জরিপকেই কেস্তোয়ারা জরিপ / ক্যাডাস্ট্রাল জরিপ বলা হয় ( cadastral survey=cs) বলা হয়
CS জরিপ (cadastral survey)
Cs জরিপ এটা ১৯৮৮ সালে রামু থানায় (কক্যবাজার জেলা) পাইলট প্রকল্পের আওতায় এই জরিপের কাজ শুরু করা হয় এবং তাহা এক বছর সময় লেগে যায় উক্ত থানা জরিপ করতে । অতঃপর উক্ত জরিপ থেকে ধারনা নিয়ে ১৯৯০ সালে সোরা দেশে cs জরিপের কাজ শুরু করা হয়। এই জরিপের কাজ জেলা ভিত্তিক ভাগ করে করা হয় এই জন্য এই জরিপকে DS জরিপ ও বলা হয় তথা Distritct জরিপ বলা হয় ।
এই জরিপের দুইটা নাম করণের কারণ:
■ প্রথম নামের কারণ হলো এই জরিপ কেস্তোয়ারা করে করা হয়েছে তথা দাগে দাগে জমি পরিমাপ করে করা হয়েছে এই জন্য এটাকে cadastral survey=cs জরিপ বলা হয় ।
■ এই জরিপের কাজ জেলা ভিত্তিক ভাগ করে করা হয় এই জন্য এই জরিপকে DS জরিপ ও বলা হয় তথা Distritct জরিপ বলা হয় । এই জরিপে নকশা এবং খতিয়ান তৈরী করা হয় এটাই প্রথম জরিপ যার মাধ্যমে খতিয়ান নকশা তৈরী করা হয় ।
জরিপের সমায় কাল:
Cs জরিপ করতে ১৯৮৮ থেকে ১৯৪০ সাল পর্যান্ত লেগে যায়
পাকিস্থান আমল:
ব্রিটিশ শাসনের অবশনে দেশ বিভাগের পর ১৯৫০ সালে বঙ্গীয় রাজাস্ব কমিশনারের সুপারিশগুলো পূর্ব পাকিস্থানের আইন পরিষদে আইন হিসাবে পাস হয় এ আইনটিই রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ নামে নামকরণ করা হয় ।এই আইটির ফলে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হয় এবং রায়াত এবং প্রজাগন ভূমির মালিকানার স্বীকৃতি পায় । আর এই আইনের আওতায় প্রজাস্বত্ব বিধিমালা ১৯৫৪ এবং ১৯৫৫ প্রনয়োন করা হয় ।
প্রজাস্বত্ব বিধিমালা ১৯৫৪ এটা ভূমি ব্যাবস্থাপনা বিভাগের জন্য করা হয় ।
প্রজাস্বত্ব বিধিমালা ১৯৫৫৫ এটা ভূমি জরিপ বিভাগের জন্য করা হয় ।
SA জরিপ (state acqustion survey)
রাষ্ট্রীয় প্রজাস্বত্ব আইন পাশ হওয়ার পর সরাজমিনে পরিমাপ না করে Cs জরিপের ভিত্তিতে এই জরিপ করা হয় ।
এই জরিপকে SA (state acqustion) এবং পাকিস্থান জরিপ ও বলা হয় (pakistan survey)বলা হয় ।
SA জরিপের সমায় কাল:
এস এ জরিপ এটা ১৯৫৬ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যান্ত করা হয় এই জরিপে খতিয়ান-নকশা-তৈরী করা হয় । এই জরিপে ১৯৬২ সালে সৈয়দ মোজ্জিম হোসেন তদন্ত কমিটির নিকট অনেক ভূল ভ্র্রান্তি ধরা পড়ে সেই কারনে আবার নতুন একটা জরিপ প্রনয়োন করা হয় যাকে আমরা RS জরিপ বলে থাকি ।
RS জরিপ (revisional survey)
Rs জরিপ (revisional survey) এই জরিপের কাজ ১৯৬৫ থেকে ১৯৯০ এর মধ্যে সম্পূর্ন্য করা হয় । উক্ত জরিপ সরাজমিনে যেয়ে করা হয় যাহার কারনে এই জরিপে ভূল ভ্রান্তি অনেক কম হয় । এই জরিপের মান এত ভালো হয় যে স্বাক্ষ্য/প্রমানের ক্ষেত্রে দলিল হিসাবে সকলে এই জরিপে উপর আস্থা রাখে । RS জরিপ (revisional survey) চলমান সমায়ে পূর্বপাকিস্থান (তথা বর্তমান বাংলাদেশ) এবং ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ সৃষ্টি হয় যদিও যুদ্ধ বেশি দিন ছিলোনা কিন্তু তার ফলে জরিপের কাজ ৩/৪ বছর বন্ধ থাকে পর্বতীতে । RS জরিপ (revisional survey) কাজ আবার শুরু করা হয় । কিন্তু দেশের অনেক জায়গায় । RS জরিপ (revisional survey) কাজ নির্দৃষ্ট সমায়ের মধ্যে সম্পূর্ন্য করা সম্ভাব হয়নি । এবং ১৯৯০ সালের পর বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক জরিপ প্রচালিত করে যেটাকে আমরা BS জরিপ বলে থাকি ।
BS জরিপ (Bangladesh survey)
BS জরিপ (Bangladesh survey) উক্ত জরিপের কাজ ১৯৯০ থেকে BDS জরিপ শুরুর সমায় পর্যান্ত মধ্যকার সমায়ে জরিপকে BS জরিপ (Bangladesh survey) বলা হয় । কিন্তু মজার বিষয় হলো এই জরিপের স্থান অনুযায়ি নামের ভিন্নতা রয়েছে ।
শহরের ক্ষেত্রে এই জরিপকে সিটি জরিপ(CITY SURVEY) বলা হয়
(CITY SURVEY) সমায়কাল ১৯৯৯- সাল থেকে BDS জরিপ শুরুর সমায় পর্যান্ত।
BDS জরিপ (Bangladesh digital survey)
BDS জরিপ (Bangladesh digital survey) এই জরিপের কাজ ২০২৩ সালে শুরু করা হয়েছে সুতারাং এই BDS জরিপ (Bangladesh digital survey) এটা একটা ডিজিটাল জরিপ এবং বাংলাদেশের মধ্যে এটায় প্রথম ডিজিটাল সার্ভে হিসাবে বিবেচিত কিন্তু এর সর্বশেষ সমায় কাল এবং এর বিস্তারিত তথ্য সমূহ্য এখনো বলা যাচ্ছেনা যতক্ষন এই জরিপের কাজ সম্পূর্ন্য হচ্ছে ।
দিয়ারা জরিপ/নদী জরিপ
দিয়ারা / নদী জরিপ এটা অনেক পুরাতন একটা সার্ভে প্রকল্প যাহা ১৮৬২ সালে শুরু করা হয় পক্ষান্তরে অন্য জরি সমূহ্য যেমনঃ CS জরিপ (cadastral survey) ১৯৮৮ সালে শুরু করা হয় ।দিয়ারা জরিপ সাধারণ জরিপের জন্য প্রযোজ্য সকল স্তর অনুসারণ করে এই জরিপে নদী ও নদীর চর সমূহ্যের নকশা তৈরীসহ –রেকর্ড প্রস্তত করা হয় । দিয়ারা সেটেমেন্ট এর অধিনে ৪ টা অফিস আছে যাহার মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে সুনির্দিৃষ্ট মৌজায় এই জরিপের কাজ প্রচালিত হয় ।
অফিস সমূহ্য:
রাজশাহী
বরিশাল
নরসিংদী
চট্রগ্রাম
পেটে সার্ভে / আঞ্চলিক খাস জমি জরিপ:
যখন কোন নদী / সাগর চর বা সমতল ভূমিতে পরিনাত হয় তখন উক্ত জমি ভূমিহীনদের চাষাবাদ / ভোগদখলের জন্য বন্দবস্ত দেওয়া হয় । যখন এই ধরনের জমি জেলা প্রশাসক কর্তৃক বন্দবস্ত দিয়ে থাকেন তখন উক্ত সমতল জমির এরিয়া –অবস্থান-ভূমিহীনদের মধ্যে বন্ঠন ইত্যাদি প্রক্রিয়ার জন্য সার্ভে করার প্রয়োজন হয় । তখন তাৎক্ষনিক একজন সার্ভেয়ারের মাধ্যমে সার্ভে করাকে পেটে সার্ভে অথবা সাময়িক জরিপ বলা হয় । এটার মাধ্যমে চিটা ম্যাপ/নকশা এবং রেকর্ডে তৈরী করা হয় । এটা জেলা সেটেলমেন্ট অফিসের আওতায় থাকে ।
মৌজা ম্যাপ সংগ্রহসহ সকল ধরনের সার্ভে যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে আমাদের সাথে যোগাযোগ করন: ফোন করার সমায় রাত 10.30 মিনিট থেকে 11.30 মিনিট এর মধ্যে ।