ভূমি জরিপে চূড়ান্ত প্রকাশ স্তরের কাজ সমূহ্য:
চূড়ান্ত প্রকাশ : চূড়ান্ত যাচ স্তরের পর নকশা ও খতিয়ান ছাপানো হয় – এবং এরপর প্রজাস্বত্ব বিধিমালা ৩৩ বিধি মোতাবেক চূড়ান্ত প্রকাশনা কার্যক্রম গৃহীত হয় -১ মাসের জন্য প্রকাশ্য স্থানের চূড়ান্ত প্রকাশনা দেওয়া হয়। এ সময় ভূমির মালিকগণ তা দেখেন এবং প্রিন্টগত কোন ত্রুটি থাকলে তা কর্তৃপক্ষকে জানান – ত্রুটি যথাযথ বিবেচিত হলে সেটেলমেন্ট অফিসার তা ঠিক করে দেন। চূড়ান্ত প্রকাশনা হওয়ার পর ৬০ দিন অতিবাহিত হলে সেটেলমেন্ট অফিসার প্রজাস্বত্ব বিধিমালা ৩৪ নম্বর বিধি মোতাবেক খতিয়ান চূড়ান্ত প্রকাশিত হয়েছে বলে প্রত্যায়ন করবেন।
অতঃপর উক্ত নকশা – খতিয়ান পূর্ণ নকশা ও খতিয়ানের মর্যাদা লাভ করেন। সরকার গ্যাজেট ও বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চূড়ান্ত প্রকাশনার ঘোষণা দেন এবং তাহা প্রমাণ্য দলিল হিসেবে গৃহীত হয়। সকল কার্যালয় থেকে পূর্বের নকশা ও খতিয়ান সরিয়ে তার স্থানে চূড়ান্ত প্রকাশিত নতুন নকশা ও খতিয়ান রাখা হয় । এবং তখন থেকে এটাকে ভূমির সত্যলিপি বলে গণ্য করা হয়।
১৯৫০ সালের জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ১৪৪ ধারার বিধান ও ১৯৫৫ সালের প্রশাসত্ব বিধিমালা ৩৫ বিধি মোতাবেক এই সত্য লিপি শুদ্ধতার সাথে আইনগত ক্ষমতা লাভ করেন এবং একে ভুল প্রমাণিত না করা পর্যন্ত এটাকে শুদ্ধ বলিয়া আইনগত ভাবে মেনে নিতে হবে।
১৭ পৃষ্টা
সময়কাল: উপরে আলোচিত স্তরগুলো পার হতে তিন থেকে চার বছর সময় লাগার কথা কিন্তু প্রায় বাস্তবে ৮ থেকে ১০ বছর সময়ও লেগে যায় এখানে একটি বিষয়ে উল্লেখ করা প্রয়োজন তা হলো একটি মোজার একটি স্তরের সকল কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত – ঐ মৌজার অন্য স্তরের কাজ করা যাবে না।