খানাপুরের কাজ:
খানাপুরি করা বলতে বোঝায় খান বা শূন্যস্থান পূরণ করা অর্থাৎ কেস্তোয়ারা কৃত পি-৭০ শীটের অথবা ব্লুপ্রিন্ট শীটের প্রত্যেকটি ভূমি খণ্ড একটি করে নাম্বার দেওয় হয়। এই নাম্বারকে কিস্তোয়ারাকৃত মৌজার নকশার উত্তর-পশ্চিম কোন থেকে শুরু করে ঐ সারির ডান দিকে অগ্রসর হয়ে সারি শেষ করে নির্ম্নের সারিতে গমন করে আবার বাদিক থেকে অগ্রসর হতে হবে এভাবেই পর্যায়ক্রমে প্রতিটি সারিতে নাম্বার প্রদান করে সর্বনির্ম্ন দক্ষিণ-পূর্ব কোণে সাধারণত নাম্বার প্রধান শেষ করতে হবে।
এই নাম্বার গুলোকে দাগ নাম্বার বলে এই স্তরের আরেকটি কাজ সম্পাদিত হয়। তাহা হলো ঐ সময় ভূমির মালিকের নামে খতিয়ান প্রস্তুত করা। আর সেজন্য- মালিকের নাম – ঠিকানা – জমির শ্রেণী – জমির পরিমাণ – মালিকের মোট জমি – ইত্যাদির তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়।
দাগে ভূমির পরিমাণ কত তাহা এই স্তরে লেখা হয়না। এই স্তরের পরে লেখা হয়।
কিন্তু: ব্লুপ্রিন্ট শীটের পরিবর্তে ট্রাভাস দৈর্ঘ্যের মাধ্যমে যদি কেস্তোয়ারা করা হয় তাহলে দাগের ভূমির পরিমাণ নির্ণয়ের জন্য খানাপুরির পর উক্ত শীটটি এরিয়া স্টেটমিটার এর কাছে প্রেরণ করা হয়। এবং খতিয়ান এবং দাগের জমির পরিমান লেখা হয় । এ সময় যে খতিয়ান প্রণয়ন হয় তাকে বলে খসড়া খতিয়ান ।এই স্তরে খতিয়ান নীল ও কালো কালিতে লেখা হয়।