খতিয়ান আইন

খতিয়ান আইন

আমরা ভূপৃষ্টে বসবাস করি তাই ভূপৃষ্টের জমিজমা ব্যাবহার করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়নীতি সংক্রান্ত বিধিমালা রয়েছে এবং উক্ত বিধিমালা মোতাবেক বিভিন্ন দলিলপত্র রয়েছে উক্ত দলিল পত্রের মধ্যে খতিয়ান একটা গুরুত্বপূর্ন্য বিষয় । আমরা জানি জমিজমার ক্ষেত্রে খতিয়ান শব্দটি খুব প্রচিালিত একটা শব্দ যে শব্দটি জমির জ অক্ষর বলতে গেলেই চলে আসে । আর সেই বাক্যটা হলো খতিয়ান।

খতিয়ান আইন

১৮৭৫   সালের বঙ্গীয়  জরিপ আইন ও ১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন  এর আলোকে বিভিন্ন জমিদারি এলাকার রায়াতের ভোগদখলকৃত  জমির প্রতেকটা প্লট সরাজমিনে মেপে –জমির পরিমান –জমির শ্রেণী-জমির খাজনা ইত্যাদি তথ্যদিসহ  ও মৌজা ভিত্তিক খতিয়ান এবং নকশা তৈরী করা হয় । আর এই ধরনের জরিপকেই কেস্তোয়ারা জরিপ / ক্যাডাস্ট্রাল জরিপ বলা হয় ( cadastral survey=cs) বলা হয়  ।

১৮৭৫   সালের বঙ্গীয়  জরিপ আইন ও ১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন  এর আলোকে বিভিন্ন জমিদারি এলাকার রায়াতের ভোগদখলকৃত  জমির প্রতেকটা প্লট সরাজমিনে মেপে –জমির পরিমান –জমির শ্রেণী-জমির খাজনা ইত্যাদি তথ্যদিক সহ খতিয়ান- ও মৌজা ভিত্তিক  নকশা তৈরী করা হয় । আর এই ধরনের জরিপকেই কেস্তোয়ারা জরিপ / ক্যাডাস্ট্রাল জরিপ বলা হয় ( cadastral survey=cs) বলা হয়

১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইনকে ভিত্তি করেই ১৯৫০ সালে  জমিদারি অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব আইন পাশ করা হয় ।  এবং ১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইনকে  রহিত করা হয় ।

রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব  আইন ১৯৫০ এর মাধ্যমে জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ করে । এই এস এ জরিপ ১৯৫৬ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যান্ত করা হয় এই জরিপে  খতিয়ান-নকশা-তৈরী করা হয় । যাহা CS অনুসারে করা হয় । এটা একটা সেটেলমেন্ট জরিপ – কেননা এই জরিপ অফিসে বসে করা হয়

SA জরিপ আইন :

রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব  আইন ১৯৫০ এর উপর ভিত্তি করে প্রস্তুতকৃত SA জরিপ । এই জরিপ ১৯৫৬ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যান্ত করা হয় এই জরিপে  খতিয়ান-নকশা-তৈরী করা হয় । এই জরিপে ১৯৬২ সালে সৈয়দ মোজ্জিম হোসেন তদন্ত কমিটির নিকট অনেক ভূল ভ্র্রান্তি ধরা পড়ে – সেই কারনে আবার নতুন একটা জরিপ প্রনয়োন করার  প্রয়োজন দেখা দেয় ।

RS জরিপ আইন :

তখন সংশোধন জরিপ হিসাবে এই RS জরিপ করা হয় । যাকে আমরা RS জরিপ বলে থাকি । রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব  আইন ১৯৫০ এর উপর ভিত্তি করে প্রস্তুত করা হয়ূ ।এই জরিপ ১৯৬৫ থেকে ১৯৯০ পর্যযান্ত  করা হয়  এই RS জরিপ এখন পর্যান্ত একটা শুদ্ধ এবং জনপ্রিয় একটা জরিপ। এই জরিপের উপর কোর্ট থেকে শুরু করে পাবলিক পর্যান্ত সকলে আস্তা রাখেন ।

BS জরিপ আইন :

BS জরিপ এটা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রচালিত প্রথম জরিপ । এই জরিপ রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব  আইন ১৯৫০ এর আলোকে করা হয় । এই জরিপ ১৯৯০ থেকে BDS এর পূর্ব সমায় পর্যান্ত করা হয় ।

নামজারি  খতিয়ান আইন

নামজারী (mutation): নামজারী (mutation) বলতে বুঝায় কোনো ভু-সম্পত্তির স্বত্বর মালিকানা অর্জন করলে উক্ত সম্পত্তির রেকর্ড সংশোধন এবং খাজনা / কর দেওয়ার জন্য উক্ত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রেকর্ড সংশোধনের পাশাপাশি নতুন জোত/খতিয়ান তৈরী হয়ে থাকে । আর এই সকল প্রক্রিয়াকে নামজারী (mutation) বলে নামকরণ করা হয়

নামজারি / mutation এর আইন: নামজারি / mutation এটা ১৯৫০ সালের জমিদারী অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব আইনের ১৪৩ ধারা অনুযায়ী এবং ১৯৯০ সনের বাংলাদেশ  ভূমি ব্যাবস্থাপনা ম্যানুয়াল ৩০৯ হইতে ৩৩২  নং বিধি বা অনুচ্ছেদে নামজারী সংক্রান্ত বিষয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে

খতিয়ানের প্রকার : বাংলাদেশে যে সকল খতিয়ান তৈরী হয়েছে

=দিয়ারা জরিপ খতিয়ান

=সি-এস খতিয়ান

=এস-খতিয়ান

=আর-এস খতিয়ান

=বি-এস খতিয়ান

=সিটি-জরিপ খতিয়ান

=পেটে-সার্ভে খতিয়ান

=নামজারি খতিয়ান

সকল জরিপের সমায়কাল

Cs জরিপের সমায় কাল:

Cs জরিপ এটা ১৮৮৮ সালে রামু থানায় (কক্যবাজার  জেলা) পাইলট প্রকল্পের আওতায় এই জরিপের কাজ শুরু করা হয় এবং তাহা এক বছর সময় লেগে যায় উক্ত থানা জরিপ করতে । অতঃপর উক্ত জরিপ থেকে ধারনা নিয়ে ১৮৯০ সালে সারা দেশে cs জরিপের কাজ শুরু করা  Cs জরিপ করতে ১৯৮৮   থেকে ১৯৪০ সাল পর্যান্ত লেগে যায় ।

এস-জরিপের সমায় কাল:

এস এ জরিপ এটা ১৯৫৬ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যান্ত করা হয় এই জরিপে  খতিয়ান-নকশা-তৈরী করা হয়

আর-এস  জরিপের খতিয়ান

Rs জরিপ (revisional survey)  এই জরিপের কাজ ১৯৬৫ থেকে ১৯৯০ এর মধ্যে সম্পূর্ন্য  করা হয় । উক্ত  জরিপ সরাজমিনে যেয়ে করা হয় যাহার কারনে  এই জরিপে ভূল ভ্রান্তি অনেক কম হয়  । এই জরিপের মান এত ভালো হয়  যে স্বাক্ষ্য/প্রমানের ক্ষেত্রে দলিল হিসাবে সকলে এই জরিপে উপর আস্থা রাখে ।

বি-এস জরিপের সমায় কাল:

BS জরিপ (Bangladesh survey) উক্ত জরিপের কাজ ১৯৯০ থেকে  BDS জরিপ  শুরুর সমায় পর্যান্ত মধ্যকার সমায়ে জরিপকে BS জরিপ (Bangladesh  survey) বলা হয় । কিন্তু মজার বিষয় হলো এই জরিপের স্থান অনুযায়ি নামের ভিন্নতা রয়েছে   ।

CITY  জরিপের সমায় কাল:

CITY SURVEY সমায়কাল ১৯৯৯- সাল থেকে 2000  সাল পর্যান্ত।

BDS জরিপ (Bangladesh  digital survey)

BDS জরিপ (Bangladesh  digital survey) এই জরিপের কাজ ২০২৩ সালে শুরু করা হয়েছে সুতারাং এই BDS জরিপ (Bangladesh  digital survey) এটা একটা ডিজিটাল জরিপ এবং বাংলাদেশের মধ্যে এটায় প্রথম ডিজিটাল সার্ভে হিসাবে বিবেচিত কিন্তু এর সর্বশেষ সমায় কাল এবং এর বিস্তারিত তথ্য সমূহ্য এখনো বলা যাচ্ছেনা যতক্ষন এই জরিপের কাজ সম্পূর্ন্য হচ্ছে ।

দিয়ারা জরিপের সমায় কাল:

দিয়ারা / নদী জরিপ  এটা অনেক  পুরাতন একটা সার্ভে প্রকল্প যাহা  ১৮৬২ সালে শুরু করা হয় পক্ষান্তরে অন্য জরি সমূহ্য যেমনঃ  CS জরিপ (cadastral survey) ১৯৮৮ সালে শুরু করা হয় ।দিয়ারা জরিপ সাধারণ জরিপের জন্য প্রযোজ্য সকল স্তর অনুসারণ করে এই জরিপে নদী ও নদীর চর সমূহ্যের নকশা তৈরীসহ –রেকর্ড প্রস্তত করা হয়

পেটে-সার্ভে জরিপের সমায় কাল:

যখন কোন নদী / সাগর চর  বা  সমতল ভূমিতে পরিনাত হয় তখন উক্ত জমি ভূমিহীনদের চাষাবাদ / ভোগদখলের জন্য বন্দবস্ত দেওয়া হয় । যখন এই ধরনের জমি জেলা  প্রশাসক কর্তৃক  বন্দবস্ত দিয়ে থাকেন তখন উক্ত সমতল জমির এরিয়া –অবস্থান-ভূমিহীনদের মধ্যে বন্ঠন ইত্যাদি  প্রক্রিয়ার জন্য  সার্ভে করার প্রয়োজন হয় । তখন তাৎক্ষনিক একজন সার্ভেয়ারের  মাধ্যমে সার্ভে  করাকে পেটে সার্ভে  অথবা সাময়িক  জরিপ বলা হয় ।  এটার মাধ্যমে চিটা ম্যাপ/নকশা এবং রেকর্ডে তৈরী করা হয় । এটা জেলা সেটেলমেন্ট অফিসের আওতায় থাকে ।

মৌজা ম্যাপ সংগ্রহসহ সকল ধরনের সার্ভে যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে আমাদের সাথে যোগাযোগ করন: ফোন করার সমায় রাত 10.30 মিনিট থেকে 11.30 মিনিট এর মধ্যে ।

 

error: Content is protected !!