সিলেট জেলার জরিপ সমূহের কার্য্যক্রম
সিলেট জেলার জরিপ কার্যক্রম: সিলেট জেলার সম্রাট আকবরের আমলে জরিপের পর ১৭৮৭ সালে মিঃ লিন্ডসে – এই অঞ্চলের জরিপ করেন । এবং খাজনা বা কর পুঃ-নির্ধারণ করেন । ১৮২৯-৩৮ সালে ক্যাপ্টেন ফিসার জয়ন্তিয়া পরগনার জরিপ করেন এবং পাচসনা বন্দোবস্ত দেন। এরপর ১৮৫৯-১৮৬৫ সালে মিঃ হপকিন্সের নেতৃত্বে থাক-বাস জরিপ করেন । ১৮৮১-১৮৮২ সালে মিঃ-কোসিন্স একটি পরীক্ষামূলক জরিপ করেন – এবং থাকবাস জরিপ কার্যক্রম পরীক্ষা করেন ১৮৮৫ সালে বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন এই এলাকায় প্রযোজ্য ছিল না । তাই সিলেট জেলায় সি-এস জরিপ কার্যক্রমের আওতায় হয়নি। সিলেট জেলায় ভূমি রাজস্ব আদায়ের জন্য কালেক্টরের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছিলো মহাকুমা প্রশাসককে। মাহকুমা সদরে এই খাজনা প্রদান করতে হতো।
১৯৩৬ সালের সিলেটে প্রজাস্বত্ব আইন সিলেট ১৯৩৬ জারি করা হয় । এবং ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে দেশ স্বাধীন হওয়ার লগ্নে সিলেট জেলার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয় । আসামা প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত বিলুপসংখ্যা মুসলিম অধ্যুষিত এই জেলার জনসাধারণের মতামত চেয়ে রেফারেন্ডাম হয় । এবং সে মোতাবেক করিমগঞ্জ মহাকুমার একটি অংশ ছাড়া বাকি সিলেট জেলা তদনীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়। এদেশে জমিদারি অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব আইন জারি হবার পূর্বে সিলেটে প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৩৬ এর ১১৭ ধারার বিধান মোতাবেক ৭ জুন ১৯৫০ সালে আর-এস ও ৩৬১৫ নম্বর বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে সিলেট জেলায় ।
প্রথমবারের মত ক্যাডাস্ট্রাল জরিপের মাধ্যমে রেকর্ড তৈরির কাজে শুরু করা হয়। এই জরিপ
কাজ ১৯৫৬ সালের ২৮ শে মার্চ তারিখে আর এল ৪৫১১ নম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই জরিপ কার্যক্রম কে ১৯৫০ সালের জমিদারি অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব আইনের অধীনে চালুকৃত এস-এ জরিপ কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা হয় । ফলে লক্ষ্যনীয় যে সিলেট জেলা ছিল নিয়মিত ক্যাডাস্ট্রাল জরিপ ।এভাবে সিলেট জেলা বাংলাদেশ অন্যান্য জেলার মতো একই প্রকার রাজস্ব ব্যবস্থায় আসে । শুধুমাত্র পার্বত্য জেলা সমূহ ব্যতীত।
এস-এ জরিপ কার্যক্রম এরপর ১৯৭৩ সালে এস-এ খতিয়ান প্রস্তুত শেষ হলে ১৯৫০ সালের জমিদারী অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব আইনের পঞ্চম খন্ড অর্থাৎ: প্রজাস্বত্ব আইন বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে কার্যকরী হয়। এর মধ্যে ১০ মে ১৯৯৮ তারিখে বাকেরগঞ্জ জেলার সদর মহাকুমার অন্তর্ভুক্ত মুলাদী মেহেদীগঞ্জ ও হিজল থানা ও ভোলা মহকুমায় পঞ্চম খন্ড কার্যকর করা হয়। এবং সর্বশেষ ৫ আগস্ট ১৯৬৫ সালে ফরিদপুর জেলায় কার্যকর হওয়ার মধ্য দিয়ে সারাদেশে পঞ্চম খন্ড কার্যকর হয় ।