ভূমি জরিপে জোনাল জরিপ কার্য্যক্রম
ভূমি জরিপের জোনাল কার্যক্রম : ক্যাডাস্ট্রাল জরিপের প্রকল্পে ২/৩ জেলায় একসাথে জরিপের কাজ চালিয়ে যেতে হতো এবং জরিপ কর্মীদের ঐ জেলা সমূহ শেষ করে। আবার পরবর্তিতে অন্য নতুন ২/৩ জেলার জরিপ কাজে নিয়োজিত করা হতো। পর্যায়ক্রমে সকল জেলার জরিপ শেষ হলে ২৫ থেকে ৩০ বছর পর পুনরায় ঐ সকল জেলায় আবার জরিপের ধারাবাহিকতা চলে আসতো। আর এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে বাস্তব মালিকানার বিভিন্নভাবে পরিবর্তন আসে যেটা পুনরায় রেকর্ড সংশোধনের প্রয়োজন পড়ে। এই সকল কারণে একটা সংগঠন বা একটা কমিটি দিয়ে জরিপ কার্য্য পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন জোন বা জেলা ভিত্তিক জরিপ কার্য্য পরিচালনা করা এবং দ্রন্তু নকশা এবং খতিয়ান তৈরি করার প্রকল্পে এই জোনাল সেটেলমেন্ট জরিপ কার্য্যক্রম তথা জেলা ভিত্তিক জরিপ কার্য্য পরিচালনা করার লক্ষ্যে বৃহত্তর জিলায় একটি স্থায়ী জরিপ কাঠামো প্রতিষ্ঠিতা করা প্রস্তাব প্রশাসনিক পুনঃর্গঠন সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির অনুমোদন লাভ করেন। এই অনুমোদনের প্রেক্ষাপটে ১৯৮৪ সালের ২৪শে ডিসেম্বর ১ প্রজ্ঞাপনমূলের জোনাল জরিপ স্কিম প্রবর্তন করা হয় ।
এই স্কিমের আওতায় প্রতিটি বৃহত্তর জেলাকে একটি জুন করা হয় । এবং প্রতিটা জুনের দায়িত্বে একজন জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার নিয়োগ করা হয়- এবং বৃহত্তম জেলা সদরের জোনাল সেটেলমেন্ট কার্যালয়ে ২৮ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমন্বয়ে গঠিত হয় । জেলা সদরের জোনাল সেটেলমেন্ট কার্যালয়ের জুনের অধীনস্থ থানা সমূহ্যে সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার সহ ১৯ জন কর্মকর্তা কর্মচারী সমন্বয়ে জরিপের অবকাঠামো গঠিত হয়। নিয়মিত সংশোধনীয় জরিপের কাজ চালিয়ে যাবার স্থায়ী ব্যবস্থা রাখার লক্ষ্যে । যাহাকে আমরা বর্তমান এসি-ল্যান্ড অফিস বলে চিনে থাকি