খাইখালাসি বন্ধক বলতে কি বুঝায়:
আইনে বিভিন্ন রকম বন্ধকের কথা বলা হয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো খাইখালাসি বন্ধক। এই প্রকার বন্ধক ব্যবস্থায় বন্ধক গ্রহীতা জমির যে সুবিধাদি ভোগ করেন তার জন্য বন্ধক গ্রহীতার প্রতিবন্ধকদাতার দায় হ্রাস পায়। ধরুন: আব্দুল করিম তার একখন্ড – কৃষি জমি বিশ হাজার টাকায় আব্দুরহমানের কাছে খাইখালাসি বন্ধক দিল। আব্দুরহমান এই জমি থেকে কৃষিবাবদ যত সুবিধাদি গ্রহণ করবে, ধীরে ধীরে ততই আব্দুল করিম বিশ হাজার টাকার পরিমান কমে আসবে। এটাই খাইখালাসি বন্ধক।
সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ৫৮(ঘ) ধারা অনুসারে-যখন দাতা কোনো গ্রহীতাকে বন্ধকি সম্পত্তির দখল অর্পণ করেন, তখন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দখল দিতে নিজেকে বাধ্য করেন এবং বন্ধকির টাকা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত দখল রাখার অনুমতি দেন। এবং এরকম সম্পত্তি থেকে উদ্ভূত খাজনা ও লাভ বা এরকম খাজনা বা লাভের অংশবিশেষ গ্রহণের অনুমতি দেন। এবং তা বন্ধকি টাকার সুদ বা বন্ধকি টাকা পরিশোধের জন্য বা তার আংশিক সুদ পরিশোধের জন্য এবং আংশিক বন্ধকি টাকা পরিশোধের জন্য ব্যায় করতে অনুমতি দেন। তখন তাকে খইখালাসি বন্ধক বলে।
১৯৫০ সালের রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ৯৫ ধারার বিধান মতে, কৃষিজমির খাইখালাসি বন্ধকি ছাড়া অন্য কোনোরকম বন্ধক চলতে পারে না। ৯৫ ধারা অনুসারে, অন্য আইনে যাই থাকুক না কেন, কোনো রায়ত তার জমি বা জমির অংশপূর্ণ খাইখালাসি বন্ধকি ছাড়া অন্য কোনো প্রকার বন্ধক দেবেন না এবং তার মেয়াদ সাত বছরের বেশি হবে না। তবে ওই মেয়াদের আগে হারাহারি টাকা দিয়ে রায়ত তার জমিকে বন্ধকমুক্ত করতে পারবেন। এই বন্ধক রেজিস্ট্রিকৃত দলিলের মাধ্যমে হতে হবে। রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের বিধান অনুসারে, সাত বছরের মধ্যে বন্ধকগ্রহীতার বন্ধকি টাকা উসুল না হলেও তিনি সাত বছরের বেশি সময় বন্ধকি সম্পত্তি নিজ দখলে রাখতে পারবেন না।
ম্যাপপট/ম্যাপহোল্ডার
সার্ভে যন্ত্রপাতির জন্য যোগাযোগ করুন: 0172168787