ভূমি জরিপের শ্রেণি বিভাগ:
জরিপ কাজের প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে – জরিপকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়ছে ।
ভূমি জরিপ (land survey)
সামুদ্রিক জরিপ ( hadrographic survey)
জ্যোতিঃশাস্ত্রীয় জরিপ বা আকাশ জরিপ (Astronomical survey)
ভূমি জরিপ (land survey):
আবাদি – চাষাবাদ – উপোযগী এলাকা বা পতিত এলাকা বা বনজঙ্গল – বাড়ি ঘর – ইত্যদি আছে এমন এমন এলাকাকে ভূমি বলা হয় ।
ভূমি জরিপ (land survey):
উপজেলা / থান্র এর আওতাধীন ভৌগলিক এলাকে কয়েক ভাগে ভাগ করে – প্রতেকটা ভাগকে আলাদা আলাদা নাম্বার দিয়ে (জেএল নাম্বার দিয়ে) চিহ্নিত করা হয় । প্রতেকটা জে: এল: নাম্বারের আওতাধীন এলাকাকে মৌজা বলা হয় ।
রাষ্ট্রের বর্তমান আইন ও জরিপ নীতিমালা অনুযায়ী মৌজার এলাকার ভূমির মালিকানার স্বত্বলিপি বা খতিয়ান এবং নকশা বা ম্যাপ প্রণয়নের বিস্তারিত কার্যক্রমকে ভুমি জরিপ ( land survey) বলা হয় । আর এই কার্যক্রমের মাধ্যমে ভূমির মালিকগনের ভমির মালিকানার খতিয়ান ও ভূমির নকশা তৈরী করা হয়
ভূমি জরিপ আইন (land survey law):
বর্তমান বাংলাদেশে ১৮৭৫ সালের জরিপ আইন ও টেকনিক্যালরুলের নির্দেশে এবং ১৯৫৫ সালের প্রজাস্বত্ববিধিমালা এস-এস ম্যানুয়ালের বিধিবিধান ও পরর্বতীতে জারিকৃত বিধিবিধান ও নির্দেশাবলি অনুযায়ী ভমির মালিকানার খতিয়ান ও ভূমির নকশা তৈরী করা হয় ।
ভূমি জরিপের শ্রেণি বিভাগ:
ভূমি জরিপকে প্রধধানত চার ভাগে ভাগ করা হয় ।
(ক) ভূ-সংস্থানিক জরিপ (topographical survey)
(খ) কিস্তোয়ারা জরিপ (cadastral survey)
(গ) নগর জরিপ (city survey)
(ঘ) প্রকৌশল জরিপ (Engineering survey)
(ক) ভূ-সংস্থানিক জরিপ (topographical survey) এর সংজ্ঞা:
ভূ-সংস্থানিক জরিপ (topographical survey) এটা জরিপতব্য এলাকার ভূপৃষ্টের অবয়ব জানার জন্য এটাতে অনুভূমিক ও উলম্বপরিমাপ গ্রহন করা হয় ।
এই সকল জরিপ হতে পারে : পাহাড়-পর্বত-নদী-নালা- বনভূমি ইদ্যদির অবস্থান জানার জন্য ।
(খ) কিস্তোয়ারা জরিপ (cadastral survey) এর সংজ্ঞা:
ভূমি বন্ঠন – সীমানা নির্ধারণ – জমি পরিমাপ – জমির পরিমান নিরুপন – ভুমি ক্রয় বিক্রয় ও হস্তান্তরের সীমানা নির্ধারণ করা । িএ জরিপের বহুল ব্যাবহার দেখা যায় ।
এই জরিপে দাগে দাগে জমি পরিমাপ করে নকশা এবং খতিয়ান তৈরী করা হয় ।
(গ) নগর জরিপ (city survey) এর সংজ্ঞা:
এই জরিপের মাধ্যমে নগরের রাস্তাঘাট – পানি সরবারহের পদ্ধতি – ও জমির সীমানা দেখানো হয় ।
(ঘ) প্রকৌশল জরিপ (Engineering survey) এর সংজ্ঞা:
বিভিন্ন প্রকল্প স্থাপনা নির্মানের ক্ষেত্রে এই জরিপ করা হয় । এই জরিপকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা হয় ।
১: তদন্ত জরিপ : এটা আনুমানিক ব্যায় হিসাব করার জন্য।
২: প্রাথমিক জরিপ: এটা প্রকল্পের নির্ধারন এবং ব্যায় নির্ধারণ করা হয় ।
৩: সংস্থাপনা জরিপ: এটা প্রকল্পের প্রকৃত অবস্থান ভূমিতে সংস্থাপনের জন্য ।
ব্যাবহারিক যন্ত্রের উপর ভিত্তি করে ভূমি জরিপের প্রকারভেদ:
১: শিকল জরিপ (chain survey)
২: কম্পাস জরিপ (compass survey)
৩: প্লেন টেবিল জরিপ (plane table survey)
৪: থিওডোলাইট জরিপ (theodolite survey)
৫: ট্যাকোমিটার জরিপ (tachometric survey)
৬: বিমান আলোক চিত্র জরিপ ( photographic survey)
শিকল জরিপ (chain survey) এর সজ্ঞা:
যে জরিপে শিকল /টেপ দিয়ে শুধু রৈখিক পরিমাপ নেওয়া হয় কোন কোনের পরিমাপ নেওয়া হয়না এমন জরিপকে শিকল জরিপ বলা হয়।এই সকল জরিপ সকল স্থানে করা সম্ভাব হয়না।
যেমনঃ নদীনালা- বনজঙ্গল – সমুদ্র – প্রাকৃতিক / কৃত্রিম প্রতিবন্ধকতার কারনে এই সকল জরিপ করা সম্ভাব হয় না ।এই জরিপ মোটামুটি সমতল ভূমিতে করা হয় ।
শিকল জরিপের মূলনীতি:
শিকল জরিপে কোনের পরিমাপ করা যায়না তাই এই ক্ষেত্রে ঘের দেওয়া সম্ভাব নয় ।আর জ্যামিতিক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে শুধু মাত্র ত্রিভূজেই বাহুর দৈর্ঘ্য জানা থাকলে আকাবাকা জমির ক্ষেত্রফল বের করা যায় । যেহেতু শিকলের সাহায্যে শুধুমাত্র দৈর্ঘ্যের পমিাপ নেওয়া যায় । তাই শিকল জরিপে জরিপতব্য এলাকাকে সারিবদ্ধ ত্রিভূজ কাঠামোতে রুপ দেওয়া হয় । জরিপে ভূল কমানোর জন্য অবশ্যই লক্ষ রাখতে হবে ত্রিভূজ গুলো যেনো সুঠামত্রিভূজ হয় । অর্থাৎ: কোনো ত্রিভুজের কোনের মান 120 ডিগ্রি এর বেশি নয় এবং 30 ডিগ্রি এর কম নয় ।
শিকল জরিপের উদ্দেশ্যে:
ক) কোনো এলাকার সীমানা নির্ধারনের জন্য ।
খ) কোনো এলাকার ক্ষেত্রফল বের করার জন্য।
গ) কোনো এলাকার নকশা তৈরীর জন্য।
ঘ)পূর্ব জরিপের সীমানা পুনঃস্থাপনের জন্য ।
ঙ) ভূমি বন্ঠনের উদ্দেশ্যে ।
কম্পাস জরিপ (compass survey) এর সংজ্ঞা:
কম্পাসের মাধ্যমে যে সকল জরিপ করা হয় তাকে কম্পাস জরিপ বলা হয় । এই জরিপ দুই প্রকারের হয়ে থাকে ।
প্রিজমেটিক
সার্ভেকম্পাস
যে সকল কারনে কম্পাস জরিপ করা হয় :
বিস্তারিত নকশা অঙ্কন – রোড সার্ভে –নদী সার্ভে –বিভিন্ন নকশার রেখা অঙ্কন –নদী/ সমূদ্রের মধ্যে জেগে উঠা বিশাল চর যেখানে নরম কাদামাটি পায়ে হেটে যাওয়া যায়না । এমন স্থানে এই জরিপ করা হয় ।
প্লেন টেবিল জরিপ (plane table survey) এর সংজ্ঞা:
প্লেন টেবিল এটা একটা লৈখিক জরিপ পদ্ধতি (graphical) । এই জরিপে প্রধান যন্ত্র হিসাবে প্লেন টেবিল ব্যাবহার করা হয় । এই জন্য এই জরিপকে প্লেন টেবিল জরিপ বলা হয় । এই জরিপ প্রতিসাম্য – সমানুপাতিক – সমান্তরাল – এই তিনটা ধারার উপর প্রতিষ্ঠিত এই প্লেন টেবিল জরিপ । এই জরিপে মাঠের কাজ এবং নকশা অঙ্কনের কাজ এক সাথে হয়ে থাকে ।
থিওডোলাইট জরিপ (theodolite survey) এর সংজ্ঞা :
মোনোনীত দৃশ্যমান বিন্দুর মধ্যবর্তী কোন অনুভূমিক এবং উলম্ভ তল বরাবরা পরিমাপের ক্ষেত্রে একটা নির্ভূল আলোক যন্ত্র ।
ট্যাকোমিটার জরিপ (tachometric survey) এর সংজ্ঞা:
ট্যাকোমিটার (tachometric) এটা একটা কোন পরিমাপক যন্ত্র যাহার সাহায্যে খুব সুক্ষ্মভাবে কোন পরিমাপ করা যায় ।
বিমান আলোক চিত্র জরিপ (photographic survey) এর সংজ্ঞা:
বিমান আলোক চিত্র জরিপ এটা একটা photographic survey আলোকচিত্র নেওয়ার মাধ্যমে এই জরিপ করা হয় ।
সামুদ্রিক জরিপ এর সংজ্ঞা :
পানিসম্বন্ধীয় জরিপে পানিসম্বন্ধীয় বিভিন্ন তথ্যদি (নৌচলাচল – সমুদ্রের পানির গড় ইচ্ছতা – সমুদ্রের জোয়ার – কূলবর্তির এলাকার জরিপ – সমুদ্রের ক্ষরনক্ষমতা সাউন্ডিং এর মাধ্যমে পানির গভীরতা নির্ণয় –এই সকল বিষয় জানার জণ্য সমুদ্র জরিপ করা হয় ।
জ্যোতিঃশাস্ত্রীয় জরিপ বা আকাশ জরিপ (Astronomical survey)
যে কোনো বিন্দুর পরম অবস্থান জানার জন্য এই জরিপ করা হয় । এতে সূর্য্ অন্যান্য স্থির নক্ষত্রের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে অবস্থান ও দিক স্থির করা হয় ।
জরিপের পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে জরিপকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে :
ত্রিভূজায়ন : যে সকল জরিপে সারিবদ্ধভাবে ত্রিভূজ অঙ্কন করা হয় তাকে ত্রিভূজায়ন জরিপ বলে ।
ঘের জরিপে: ঘের জরিপ: যে সকল জরিপ এলাকাকে ঘের অঙ্কন করা হয় । তাকে ঘের জরিপ বলা হয় ।
সামুদ্রিক জরিপ
পানিসম্বন্ধীয় জরিপে পানিসম্বন্ধীয় বিভিন্ন তথ্যদি (নৌচলাচল – সমুদ্রের পানির গড় উচ্ছতা – সমুদ্রের জোয়ার – কূলবর্তির এলাকার জরিপ – সমুদ্রের ক্ষরনক্ষমতা সাউন্ডিং এর মাধ্যমে পানির গভীরতা নির্ণয় –এই সকল বিষয় জানার জণ্য সমুদ্র জরিপ করা হয় ।
জ্যোতিঃশাস্ত্রীয় জরিপ বা আকাশ জরিপ (Astronomical survey)
যে কোনো বিন্দুর পরম অবস্থান জানার জন্য এই জরিপ করা হয় । এতে সূর্য্ অন্যান্য স্থির নক্ষত্রের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে অবস্থান ও দিক স্থির করা হয় ।
সার্ভে যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করতে আমাদের সাথে যোযোগ করুন : সমায় রাত 10.30 মিনিট থেকে 11.30 মিনিট এর মধ্যে=01721687877