নামজারি কাকে বলে এবং কত প্রকার

নামজারি কাকে বলে – কেনো নামজারি করতে হবে

নামজারী (mutation): নামজারী (mutation) বলতে বুঝায় কোনো ভু-সম্পত্তির স্বত্বর মালিকানা অর্জন করলে উক্ত সম্পত্তির রেকর্ড সংশোধন এবং খাজনা / কর দেওয়ার জন্য উক্ত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রেকর্ড সংশোধনের পাশাপাশি নতুন জোত/খতিয়ান তৈরী হয়ে থাকে । আর এই সকল প্রক্রিয়াকে নামজারী (mutation) বলে নামকরণ করা হয় ।

 নামজারি কেনো করতে হবে

নামজারী কেনো করা হয়: নামজারী (mutation) এর অর্থ হলো জারি করা / চালু করা – আমরা জানি একটা জমির সঠিক ভাবে মালিকানা লাভ করতে হলে তিন টা বিষয় প্রয়োজন হয় ।

দলিল

খতিয়ান

দখল

১/ দলিল যাহা কিনা আমরা জমি হস্তান্তরের মাধ্যমে সাব-রেজিষ্ট্রার  অফিসে করে হয় ।

২/ খতিয়ান যাহা কিনা একটা রেকর্ড প্রনয়োনের মাধ্যমে করা হয় – যাহা  কিনা সরকার কর্তৃক দলিল বলা হয়  ।

৩/ দখল অর্থাৎ জমির ভোগদখল কারী- সরকারী হিসাবে খতিয়ানের মালিকেই  ভোগদখল কারী হিসাবে বিবেচোনা করা হয় ।

এখন মূল কথা হলো: আমরা জানি একটা জরিপ / রেকর্ড ২৫/ ৩০ বছর পর পর প্রচালিত করা হয় । যাহার মাধ্যমে সরকার কর্তৃক রেকর্ড সংশোধন করে খতিয়ান ও নকশা প্রদান করা হয় এবং সেই অনুসারে খাজনা /কর নেওয়া হয়  । সুতারাং একটা জরিপ থেকে অন্য জরিপের সময়ের ব্যাবধান অনেক – যাহার কারণে একটা জমি হস্তান্তরের সাথে সাথে নতুন মালিকের নামে রেকর্ড সংশোধন এবং খতিয়ান তৈরী এবং খাজনা /কর দেওয়ার  সুযোগ তৈরী করার একমাত্র মাধ্যম হলো এই নামজারী (mutation )। এবং জমির জলিয়াতি ঠেকাতে নামজারী গুরুত্বপূর্ন্য  ভূমিকা পালন করে

রেকর্ড দুই প্রকারের হয়ে থাকে

সরকার কর্তৃক রেকর্ড হলো = ক-বিভাগীয় রেকর্ড

নামজারী কর্তৃক রেকর্ড হলো=খ-বিভাগীয় রেকর্ড

নামজারি / mutation এর আইন: নামজারি / mutation এটা ১৯৫০ সালের জমিদারী অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব আইনের ১৪৩ ধারা অনুযায়ী এবং ১৯৯০ সনের বাংলাদেশ  ভূমি ব্যাবস্থাপনা ম্যানুয়াল ৩০৯ হইতে ৩৩২  নং বিধি বা অনুচ্ছেদে নামজারী সংক্রান্ত বিষয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে ।

নামজারী (mutation) কত প্রকার:

একটা ভূ-সম্পত্তির মালিকানা অর্জনের ধরনের উপার ভিত্তি  করে নামজারী (mutation) কে তিন ভাগে ভারা হয় ।

নামজারী: নামজারী হলো সরকারী রেকর্ডে মালিকানার স্থানে কাহারোর নামজারী করাকে নামজারী বলা হয় ।

যেমন: পিতার মৃত্যুর পর পিতার নামের স্থানে পুত্রদের নাম যুক্ত করাকে নামজারী বলা হয় ।

জমা-খারিজ: জমা-খারিজ হলোকাহারোর হোল্ডিং / খতিয়ান থেকে জমি কর্তন / কেটে নিয়ে নতুন মালিকের নামে আলাদা খতিয়ান এবং জোত তৈরী করা – এবং সরকারি মালিকানার নামের স্থানে উক্ত ব্যেক্তি নাম যুক্ত  করা – এবং পৃথক ভাবে খাজনা প্রদানের সুযোগ তৈরী করার প্রক্রিয়াকে জমা-খারিজ বলে।

যেমন: ক্রয়কৃত জমির নামজারী –যে কোনো দলিলের মাধ্যমে হস্তান্তরিত জমির নামজারী ।

জমা-একত্রীতকরণ: জমা-একত্রীতকরণ এটা এমন একটা প্রক্রিয়া যাহার মাধ্যমে জমির মালিকগণ তাহার একটা মৌজার ভিতরে থাকা সকল জমির সকল খতিয়ান গুলো একত্রিত করে একটা খতিয়ানে রুপান্তরিত করতে পারে ।

যেমন: করিম এর একটা মৌজার মধ্যে মোট  হোল্ডিং/খতিয়ান নাং: 102-225-227-326-365-389- এই সকল খতিয়ান একত্রিত করে একটা হোল্ডিং/খতিয়ান এর অন্তর্ভূক্ত করলো ।

নামজারির উপকারীতা:  রেকর্ড সংশোধন করা – নিজ নামে হোল্ডিং/  খতিয়ান তৈরী করা – নিজ নামে খাজনা দেওয়ার সুযোগ লাভ করা – ভূমিদস্যু হতে  নিজের জমিকে রক্ষা করা – বিভিন্ন প্রতারনা মূলক হয়রানী থেকে নিজেকে রক্ষা করা –  ভবিষাৎ প্রজন্মকে ভূমির জটিলতা থেকে মুক্ত করা – এ ছাড়াও অনেক উপকারীতা রয়েছে যাহা বলে শেষ করা  সম্ভাব নয় ।

মৌজা ম্যাপ সংগ্রহসহ সকল ধরনের সার্ভে যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে আমাদের সাথে যোগাযোগ করন: ফোন করার সমায় রাত 10.30 মিনিট থেকে 11.30 মিনিট এর মধ্যে ।